আমাদের সবার জীবনে ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সকালের নাশতায় অনেকেই ডিম খান। এর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন ও অন্যান্য খনিজগুলোর মতো বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিন্তু কীভাবে ডিম সেদ্ধ করতে হবে, খোসা ছাড়াতে হবে বা তাজা ডিম চেনার পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। এই লেখায় ডিম নিয়ে কয়েকটি অজানা তথ্য রইল।
শীতল পানিতে লবণ মিশিয়ে আপনার কেনা ডিমগুলো রেখে দিন। ডিমগুলো যদি ডুবে যায় তাহলে বুঝতে হবে তা তাজা রয়েছে। আর যদি ভেসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে ডিমগুলো পুরনো। আবার ফ্রিজে ট্রেতে সাজিয়ে রাখলে ডিম অনেকদিন তাজা থাকে।
খোসা ছাড়ানোর পদ্ধতি
ডিম সেদ্ধ করার পর খোসা ছাড়াতে অনেক সময় লাগে। আপনি যদি কাজটি সহজ করতে চান, তাহলে ডিম সেদ্ধ করার আগে পিন দিয়ে একটি গর্ত করুন। এরপর খোসা সহজে উঠে যাবে। আরেকটি উপায় হলো- ডিম সিদ্ধ করে শীতল পানিতে পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। তাহলে সহজেই ডিমের খোসা ছাড়ানো যাবে।
ডিমের খোসায় ছিদ্র
ডিমের খোসায় ১৭ হাজার ছিদ্র থাকে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু ম্যাগনিফাইং লেন্সের সাহায্যে দেখা যায়।
ডিমের উপকারিতা
ডিমে পাওয়া পুষ্টি বয়স্কদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। শিশু এবং তরুণরাও ডিম খেতে পারে। সামগ্রিকভাবে ডিম পুরো পরিবারের জন্য দরকারি এবং স্বাস্থ্যকর।
ডিমে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। একে বলা হয় স্বাস্থ্যকর চর্বি। এই উপাদানটি আমাদের হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীর জন্য খুবই উপকারী। ডিমের হলুদ অংশে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে, তাই অনেক চিকিৎসক এটি না খাওয়ার পরামর্শ দেন।