ব্রেইন (মস্তিষ্ক) টিউমারের কথা শুনলেই মনটা আঁতকে ওঠে। ভয়াবহ কিছু মনে ভেসে ওঠে। কারণও আছে। মস্তিষ্ক খুব বিশেষ একটি জায়গা। এখানে অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। আমাদের দেশে একসময় ব্রেইনের অস্ত্রোপচার হতো না বললেই চলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাও এগিয়েছে অনেকখানি। এখন দেশেই আধুনিক মানের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হচ্ছে।
মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হয়। ব্রেইন টিউমার দুই ধরনের হতে পারে। প্রাইমারি বা যেটি মস্তিষ্কে হয় এবং সেকেন্ডারি বা যেটি শরীরের অন্য অংশ থেকে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে।
মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেহেতু মস্তিষ্ক চারদিকে শক্ত হাড় দিয়ে ঘেরা থাকে, তাই এতে কোনো টিউমার হলে তা মস্তিষ্কের চাপ বাড়ায়। একে বলে ইন্ট্রাক্রানিয়াল প্রেশার বেড়ে যাওয়া। এর লক্ষণ হলো মাথাব্যথা। এটি সাধারণত ঘুম থেকে ওঠার পর বাড়ে; হাঁচি-কাশি দিলে বা মলত্যাগের সময় বাড়ে। বমিও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। বমি বা বমি বমি ভাব অনেক দিন ধরেই চলতে থাকে। বমি বন্ধের ওষুধেও কমে না।