দেশে মূল্যস্ফীতি প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত বছরের শুরু থেকে ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে এটি একটি চলমান সমস্যা হয়েছে। এটি হচ্ছে সময়মতো মূল্যস্ফীতি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার ফল। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ মূল্যস্ফীতির ওপর প্রাথমিক প্রভাব ফেলেছিল, এত দীর্ঘ সময়ের পরে এটি একটি বৈধ অজুহাত নয়। অন্যান্য কারণ, যেমন এ সময়ের মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির দুই দফাও মূল্যস্ফীতিতে অবদান রেখেছে। যেহেতু জ্বালানি তেল অর্থনীতির প্রায় সব খাতের জন্য অপরিহার্য, তাই এর দাম বাড়া বেশির ভাগ পণ্য ও পরিষেবার খরচকে প্রভাবিত করে।
মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনটি ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি দেখতে পেয়েছি। তিনটি ক্ষেত্রেই নীতি প্রণয়ন ও নীতি বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে। প্রথমত, এ বছরের জুনে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ৬% থেকে ৯%–এ বাঁধা সুদের হারের নীতি বজায় রাখা হয়েছিল। এ নীতি বাজার অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।