অ্যামি মরিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক বেস্টসেলার বইয়ের লেখক হিসেবেও পরিচিত তিনি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ নিয়ে ২০১৪ সালে ফোর্বসে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন এই মনোবিজ্ঞানী। সেখানে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাতটি উপকারিতার কথা উল্লেখ করেন।
১. নতুন সম্পর্কের দ্বার খুলে দেয় কৃতজ্ঞতা: ছোট্ট একটা ‘ধন্যবাদ’ কেবল সুন্দর আচরণের বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং নতুন বন্ধুত্ব তৈরিতেও এটি দারুণ ভূমিকা রাখে। ২০১৪ সালে ‘ইমোশন’ ম্যাগাজিন পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, যেকোনো নতুন পরিচিত মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তার সঙ্গে খুব দ্রুত সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়।
২. শারীরিক সুস্থতায় অবদান রাখে কৃতজ্ঞতা: শারীরিক সুস্বাস্থ্যের জন্য কৃতজ্ঞতাবোধ দারুণ এক অনুঘটক। গবেষণায় দেখা গেছে, কৃতজ্ঞ মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। ২০১২ সালে প্রকাশিত ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড ইনডিভিজুয়্যাল ডিফারেন্সেস’ নামের একটি লেখায় বলা হয়েছে, কৃতজ্ঞ মানুষ অন্য যেকোনো মানুষের চেয়ে শারীরিক ব্যথা ও যন্ত্রণায় কম আক্রান্ত হন।