তখনো বিশ্বকর্মা পূজা কেবলমাত্র রিকশাস্ট্যান্ড আর অটোস্ট্যান্ডেই হতো না। ইতিউতি অনেক কারখানার ধোঁয়া বাতাসে মিশতে মিশতে দিব্যি ফুসফুসেও মিশে যেত, আর তার জন্য কোথাও কারও কাশি হয়েছে বলেও শুনিনি।
খুব বেশিদিন আগের কথা কিন্তু নয়। তবু মনে হয় যেন সম্পূর্ণ আলাদা একটা পৃথিবী আমাদের জড়িয়ে রেখেছিল। কলাবউয়ের স্নান দেখতে যাওয়ার উত্তেজনা আজকালকার বাচ্চারা কল্পনা করতে পারে?
স্মার্টফোনে গেম খেলবার কিংবা অন্যান্য ‘গেম’ দেখবার নেশা থেকে কখনো সরে এলে পরে তারা কি টের পাবে যে অতি চালাক নয় এমন মানুষের কাছেই পৃথিবী তার রূপ-রস-গন্ধের কলসি আরও বেশি করে উপুড় করে দেয়?
কোথাও একবার পড়েছিলাম, দুর্গাপূজার উৎসব প্রাধান্যের জন্যই পূজাক্ষেত্রে দুর্গা প্রাধান্য লাভ করলেন না, করলেন কালী এবং দশমহাবিদ্যার অন্যান্য দেবীরা। কিন্তু সাধনা কি কেবলমাত্র কোনো সাধকের গুহায় বসে দেবীর ধ্যান করা?
একজন মানুষের অনেক মানুষের অংশ হয়ে ওঠার যে প্রক্রিয়া, তাও কি প্রকৃতিতে আঙুল দিয়ে মহাপ্রকৃতিকে অনুভব করারই সাধনা নয়? সেই কারণেই তো সিদ্ধিলাভ করার পরও সন্ন্যাসীরা পাহাড় থেকে নেমে আসেন সমতলে। শিক্ষার পরের ধাপ যে লোকশিক্ষা তাকে অনুভব করার জন্য।