কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে এক যুগের বেশি সময় ফুরফুরে থাকা বাংলাদেশ এখন গভীর উদ্বেগে। বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডারের পতন কীভাবে ঠেকানো যাবে, চলছে সে কৌশলের সন্ধান। কিন্তু আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না। অর্থনীতিবিদরা যে ‘সমাধানের’ কথা বলছেন, সে পথেও হাঁটছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বেশ কিছু দিন থেকে বিদেশি মুদ্রা আয়ের খাতের তুলনায় ব্যয়ের খাত বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যে পরিমাণ ঘাটতি হচ্ছে, সরকারি হিসাবে প্রবাসী আয় এর চেয়ে বেশি আসতে পারত। কিন্তু সেই অর্থ আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের বদলে আসছে অবৈধ পথে, যা হুন্ডি হিসেবেই পরিচিত। একই পথে দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থপাচারও হচ্ছে, যা চাপে ফেলেছে রিজার্ভকে।
এসব নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও হুন্ডি ঠেকাতে কার্যকর কোনো পথ বের করা যায়নি। প্রবাসীদের স্বজনরা টাকা পাচ্ছেন ঠিকই; কিন্তু যে অর্থ রিজার্ভকে নিরাপদে রাখতে পারত, তা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ একই মত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার মান ‘কৃত্রিমভাবে ধরে রাখতে গিয়ে’ এ সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতাও আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করা হয়নি।