সকালের অবসরে টেলিভিশনে খবর শুনছিলাম। শিরোনামে দেখতে পেলাম ‘চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি।’ খবরটা দেখে মানবিক কারণেই খারাপ লাগল রাষ্ট্রপতির অসুস্থতায়। আমি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তবে কিছুদিন আগে শুনেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির প্রশংসা করেছে। স্পষ্টতই সেই উন্নতি রাষ্ট্রপতি পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। আমার জানাশোনা বন্ধুবান্ধব কষ্ট করে হলেও সাধ্যে কুলালে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথাই চিন্তা করেন।
অবধারিতভাবে বলা হবে, দরিদ্ররা চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির সুফল পাচ্ছে বা পাবে। সেটাই কথা। দরিদ্রদের জন্য একটা স্তর পর্যন্ত উন্নত মান, কিন্তু সেটা ধনী বা ক্ষমতাশালীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। দুঃখটা হলো, সব ব্যবস্থার মতো ধনী এবং দরিদ্রের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানেও আকাশ-পাতাল তফাত থাকবেই– সেটা বাস্তবতা বলে মেনে নেওয়ার পরামর্শ আসবে। এসব কথা যখন ভাবছি তখনই আমার এক সহকর্মী এলেন। কথায় কথায় তিনি বাজার করতে গিয়ে তাঁর পরিবারের এক সদস্যের অভিজ্ঞতার কথা বললেন। ভদ্রলোকের তালিকায় একটি পদ ছিল ‘শাক’। তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী তিন আঁটি শাক কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দাম শুনে দুই আঁটি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।