গাজাবাসীকে নতুন করে আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েল। এবার দেশটির সেনাবাহিনী গাজাবাসীকে উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। এর আগেও দেশটি গত ১৩ অক্টোবর একই কারণে গাজাবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলের দেওয়া আল্টিমেটামে ঠিক কতজন গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণে যাচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এ অঞ্চলে নিযুক্ত জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার মতে, এটি একধরনের ‘গণপলায়ন’।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলিয়েট তোউমা বলেছেন, ‘আমাদের দেখা এটিই সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি। এটি গাজাকে স্রেফ নরকের মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো। মর্মান্তিক এই দৃশ্য বিশ্ব কেবল দর্শক হয়ে দেখছে।’
জুলিয়েট তোউমা আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাঁরা বলছেন, এটি একধরনের গণপলায়নের মতোই। মানুষ এ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে তাদের গাড়ি নিয়ে, কেউ হেঁটে, কেউ তাদের তোশক-বালিশ নিয়ে ছুটছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আছে। ভয়াবহ আতঙ্কিত!’