বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃত। ১৯৭৩ সালের ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি বর্তমানে (২০২৩) ৪৬০ বিলিয়ন অতিক্রম করেছে। এ দেশ একসময় ছিল বন্যা-ঘূর্ণিঝড়, অতিদারিদ্র্য ও নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু গত শতাব্দীর শেষ দশক থেকে বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত ক্রমাগত গড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হারে জিডিপি বেড়েছে। দেশের কৃষি ও শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে আমাদের মানুষের কঠোর পরিশ্রম, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন, কর্মসংস্থান, কৃষকের আধুনিক প্রযুক্তি, বীজ ও সারের ব্যবহার এবং সর্বক্ষেত্রে সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও নীতিসহায়তা।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার দেশের শাসন ক্ষমতায় এলে এবং পরবর্তী আরো দুই মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে সরকারে ধারাবাহিকভাবে থাকার ফলে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি আরো ত্বরান্বিত হয়। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৬ শতাংশের বেশি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৭ সালেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পত্রপত্রিকা, অর্থনীতিবিদ এবং থিংক ট্যাংক বাংলাদেশের এ অগ্রগতিকে ডেভেলপমেন্ট মিরাকল হিসেবে অভিহিত করে।