বর্তমান সময়ে একটি কথা বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে যে সবকিছুতে অটোমেশন করলে মানুষ হয়রানি থেকে রেহাই পাবে, দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কয়েক মাস যাবৎ এ ব্যাপারটি নিয়ে আমি কিছু পর্যালোচনা করেছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এবং বেশ কিছু পরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ-সম্পর্কে কিছু বাস্তব ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এসব বাস্তব অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমার এই ক্ষুদ্র গবেষণা নিজের অভিজ্ঞতা বা মতামত বিনিময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে, তবে বেশির ভাগ মানুষের মতামত যেটা প্রতিফলিত হয়েছে, সেটাই বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই ধরা যাক, জমির খাজনা পরিশোধের কথা। জমির খাজনা দিতে গিয়ে আগে অনেকেই অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল যেখানে খাজনা হবে ১ হাজার ২৪০ টাকা, সেখানে এই ১ হাজার ২৪০ টাকা খাজনা দিতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জমির নামজারি করার জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও, কম করে হলেও ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ঘুষের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত যেত।
বর্তমানে অনলাইনে খাজনা দেওয়ার পদ্ধতি চালু হয়েছে। অনলাইনে সবকিছু চাহিদামতো পূরণ করে সাবমিট করার পরেও অপেক্ষায় থাকতে হয় মাসের পর মাস। এই অপেক্ষার সময় পার করার জন্য আপনি যদি তহশিল অফিসে যোগাযোগ করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করে দেয়। এই যোগাযোগের অর্থ হলো, যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তাঁকে তাঁর পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে। বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি, যেসব কম্পিউটারের দোকান এসব অনলাইন ফরম পূরণ করে, তাদের সঙ্গে কথা বলেও একই রকম অভিজ্ঞতার খবর পাওয়া গেছে।