মা–বাবারই দায়িত্ব সন্তানকে সুন্দরভাবে বড় করে তোলা। পরিবেশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সন্তান যেন বড় হতে পারে, একেবারে শুরু থেকেই সেটি দেখভাল করতে হবে। সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ যেকোনো সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই আমাদের এখন পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। নতুবা একসময় পৃথিবীটাই থাকবে, মানুষ থাকবে না। তাই পরিবেশবান্ধব সন্তানপালনের (ইকোফ্রেন্ডলি প্যারেন্টিং) কোনো বিকল্প নেই। এমনভাবে সন্তানকে বড় করে তুলুন, যাতে সেই প্রক্রিয়ায় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস খরচ হয় কম, কমে আসে কার্বন ফুটপ্রিন্ট।
ভারতের পরিবেশবান্ধব খেলনার জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান টয় ট্রাংক। শিশুদের জন্য তারা এমন সব খেলনা বানায়, যেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়, রিসাইকেল করা যায় আর দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। সেই সঙ্গে শিশুকে পরিবেশ আর তার উপাদানকেও ভালোবাসতে শেখায়। এই প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রিয়াঙ্কা মাংগাওকার বলেন, শিশুকে ছোটবেলা থেকেই পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল আর সহানুভূতিশীল করে গড়ে তুলতে হবে। একটা মানুষ যে পরিবেশেরই অংশ, সেটা তাকে বুঝতে হবে। তাই পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে যথাসম্ভব খাপ খাইয়ে চলতে হবে। শিশুকে বুঝতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য প্রকৃতি, মাটি, পানি, বাতাস বিশুদ্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই।