আবার লেজার থেরাপি নিয়েও মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায়। তবে এসবের চাইতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও কাজটা করা সম্ভব।
এই বিষয়ে ভারতীয় রূপবিশেষজ্ঞ ডা. ব্লসম কোচার বলেন, “মুখের লোম স্বাভাবিক। তবে অনেকের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে বেশি লোম হয়। যাকে বলে ‘হার্সিটিজম’। এছাড়া বংশধারার কারণেও দেহে ও মুখে লোমের পরিমাণ নির্ভর করে।”
হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, এছাড়া কিছু ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন ‘স্টেরয়েডস’ ভিত্তিক চিকিৎসা থেকেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে বিষয় হল হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই মুখের লোম অপসারণ করা যায়।
চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল-চামচ চিনির সাথে লেবুর রস ও ৩৫ মি.লি বা আধা কাপ পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। যেখানে যেখানে লোম আছে সেখানে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবু ও মধু: এক টেবিল-চামচ মধু, দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে তিন মিনিট ফোটাতে হবে। এই সময় ধীরে ধীরে নাড়তে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায় তবে পানি দিয়ে পাতলা করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ঠাণ্ডা হওয়ার পর অবাঞ্ছিত লোমের অংশ লাগাতে হবে। এটা প্রাকৃতিক ‘ওয়াক্স’ হিসেবে কাজ করে। তাই ওয়াক্স স্ট্রিপ দিয়ে লোম ওঠার বিপরিতে টেনে তুল‘তে হবে।