পোশাকে পূজার রং

সমকাল প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৫৬

বছর ঘুরে আবার পূজার বাদ্যি বাজতে চলল। কিছুদিন পর শুরু হয়ে যাবে ঢাকঢোল ও বাজনা। মন্দির, মণ্ডপ, বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাবে সাজসাজ রব। কার্তিকের শুরুর দিকে দেবী এলেও, দেবীবরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে কেনাকাটা। বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ফ্যাশন হাউসগুলোও নিয়ে এসেছে রংবেরঙের পোশাক, গহনা ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। পোশাকের ব্র্যান্ড– বিশ্বরঙ, কে ক্র্যাফট, রঙ বাংলাদেশ, অঞ্জন’স, টুয়েলভ ক্লদিং, সারা, আর্ট, ইয়েলো, এম্পেরিয়র, নাগরদোলাসহ সব ব্র্যান্ড পূজার পোশাকের পসরা নিয়ে এসেছে। থেমে নেই ছেলেদের পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোও। ইজি, আর্টিসান, মেনস ওয়্যার, রিচম্যান, প্লাস পয়েন্ট, আর্টিজ্যানসহ অন্য ব্র্যান্ডগুলোও এনেছে পূজার পোশাক। শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, কুর্তি, ফতুয়া, পোলো ও টি-শার্টে বাহারি থিম ও নকশার সংমিশ্রণ করা হয়েছে। কাটিং, প্যাটার্নে কিছুটা ভিন্নতা আছে। বরাবরের মতো রয়েছে ফিউশনও। বিশ্বরঙের পোশাকে বরাবরের মতো উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য থাকলেও, এবারের পোশাকে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পদ্মফুল, দেবী দুর্গার প্রতিকৃতি, মন্ত্র, দেবী দুর্গার স্তুতিবাক্য ইত্যাদি। এমনটাই জানান পোশাকের ব্র্যান্ড বিশ্বরঙের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহা। দেবী দুর্গার মুখ ও অন্যান্য পূজার থিম ছাড়াও এবারের পোশাকে বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা, আর্ট ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে। শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজে হাতের কাজ, টার্সেল ও লেইসের ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো।


নকশায় থিমে: এবারের পূজার পোশাকে প্রতিটি ব্র্যান্ডের নকশা ও থিমে রয়েছে ভিন্নতা। সারার ডিজাইনার শামীম রহমান জানান, ‘সারা’র পূজার কালেকশনে এবারের থিম হলো, মান্ডালা আর্ট। নারী ও পুরুষের সব ধরনের পোশাকে এ আর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিশুদের পোশাকেও রয়েছে বিভিন্ন বৈচিত্র্য। সারার পোশাকে দেশীয় ঘরানার সঙ্গে পশ্চিমা ঘরানার সংমিশ্রণ বেশি বলেও জানান শামীম রহমান। সারার পোশাকে থিমের সঙ্গে মিল রেখে ডিজাইন, পোশাকের প্যাটার্ন ও মোটিফের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন চক্রে আঁকা শিল্প। সাতকাহনের পোশাকে হ্যান্ডপেইন্ট করা জবা ফুল, সিল্কের শাড়িতে ডাইয়ের কাজ, কান্তজির মন্দিরের নকশা ইত্যাদি রয়েছে। হরীতকী ও মহাশয়ের পোশাকে দেবীর প্রতিকৃতি, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র, ফুলের নকশা, কুলা, পটচিত্র, সনাতনি সংস্কৃতি ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে।


রঙের বাহার: পূজা মানেই লাল ও মেজেন্টা রং। একটু উজ্জ্বল রং না হলে উৎসব যেন ঠিক জমে না। নবমী ও দশমীর পোশাকের সংগ্রহে এই দুই রঙের পোশাক রাখতে পারেন। বাটার ক্রিম, পেস্তা সবুজ, শ্যাওলা সবুজ, হালকা কমলা, গাঢ় কমলা, ফিরোজা, পিঙ্ক, চেরি পিঙ্ক, পাউডার পিঙ্ক, মেরুন, মেজেন্টা, হোয়াইট, অফ হোয়াইট, ব্রিক রেড, অরেঞ্জ, স্যালমন অরেঞ্জ, টেন ব্রাউন, মেরি গোল্ড, ল্যাভেন্ডার, নেভি, কোরা, কোরাল রেড, ক্রিমসন রেড, রয়্যাল ব্লু ইত্যাদি রংগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অষ্টমীতে সবুজের বিভিন্ন শেড, প্যাস্টেল, ব্রিক রেড, টেন ব্রাউন রঙের কুর্তি, কামিজ, ফ্রক, পালাজ্জো-টপস, স্কার্ট-টপস ইত্যাদি রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। এতে গরমে খানিকটা আরাম পাবেন। নবমী ও দশমীর দিনে নানা শেডের কমলা, কোরাল রেড, গাঢ় গোলাপি, রানী গোলাপি রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। অন্যদের থেকে ভিন্নতা থাকতে আইভরি, ক্রিম, বাটার ক্রিম রঙের পোশাকও নির্বাচন করতে পারেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us