আইনের মারপ্যাচ ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা

বিডি নিউজ ২৪ বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৫

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি গত কিছু দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছিল যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে জার্মানিতে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু শেষে কেন যেন সেটা আর হয়নি। কিন্তু ৯ অক্টোবর সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের চিকিৎসা দিয়ে তাকে আর বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাই চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে বিদেশের উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। বোর্ড বলছে, তাদের হাতে আর কোনো অপশন নেই। 


চিকিৎসকেরা বলছেন, কিছু ওষুধপত্র ও সীমিত পদ্ধতির ওপর ভর করে বর্তমানে কোনোমতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এটা সাময়িক। এখন অনেক উচ্চমানের অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছে না। এ অবস্থায় মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন তিনি। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল জানিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ফুসফুসে একটা সংক্রমণ হয়েছে। এখন সেই সংক্রমণের চিকিৎসা চলছে। মাঝে মাঝে ওনার অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি ব্লিডিংও হয়েছে। ভর্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ওনাকে ৮ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার জন্য “টিপস” নামক একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। টিপস করা হলে পেটে, বুকে আর পানি আসবে না। কিন্তু বাংলাদেশে টিপস করানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন বাংলাদেশে হয় না। এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। আমি মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতভাবে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা মনে করি বিদেশের উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।’


গত ৯ অগাস্ট থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ না থাকায় বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতির জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে লিখিত আবেদনও করেন তিনি। ওই আবেদনটির আইনি দিক যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সেদিন বলেছিলেন, ‘আবেদনটি অল্প সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।’ যদিও এক সপ্তাহ আগে তিনি বলেছিলেন ‘আইনের বর্তমান অবস্থানে থেকে সরকারের আর কিছুই করার নেই’।আইনমন্ত্রী ‘যাচাই-বাছাই করে স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার’ কথা বলার পর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে- ‘সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে’। দলটির নেতাকর্মীদের অনেকে সামাজিকমাধ্যমে এমন পোস্টও দিয়েছেন; যেখানে বলা হয়েছে ‘শেষ পর্যন্ত জার্মানি নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us