সব ধরনের মিষ্টি বিক্রিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে মান সনদ নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। অনুমোদনবিহীন মিষ্টি কেউ বিক্রি করলে গুনতে হবে জরিমানা। এ ছাড়া ছানা, রকমারি জন্মদিনের কেক, গ্রিন-টি উৎপাদনে নিতে হবে মান সনদ।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় সরকার বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকা বাড়িয়েছে। বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় সর্বমোট ২৭৩টি পণ্য এখন নজরদারিতে থাকবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় এসব পণ্য নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে মিষ্টিও রয়েছে।
বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, সরকার জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় আরও ৩৬টি পণ্য বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক তালিকায় এনেছে। লাইসেন্স গ্রহণ ছাড়া এসব পণ্য উৎপাদন, বিক্রি বা বিতরণ করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। এসব পণ্যের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান (স্টান্ডার্ড) থাকলেও বাধ্যতামূলক তালিকায় স্থান না পাওয়ায় বিএসটিআই থেকেও নজরদারি করা হত না। তবে বাধ্যতামূলক তালিকায় স্থান পাওয়ায় বিএসটিআইয়ের নজরদারির আওতা আরও বাড়ল। অপরদিকে ভোক্তারা মান সম্মত পণ্য পাওয়ার পাশাপাশি নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন রোধ হবে।
বাধ্যতামূলক পণ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে মিষ্টি, চাটনি, গ্রিন–টি, সয়াসস, ডেকোরেটেড কেক, মল্টবেজড খাদ্য ও পানীয়, ছানা, চিজ, হুয়ে চিজ, ক্রিম চিজ, চুলের ক্রিম, চোখের কাজল, গ্লিসারিন, লিকুইড টয়লেট সোপ, ট্রান্সপারেন্ট টয়লেট সোপ, বিটুমিন, প্রেসার কুকার, এলপিজি সিলিন্ডার, রান্নার স্টোভ, শিল্প শ্রমিকদের ব্যবহৃত হেলমেট, চটের ব্যাগ, ৩০-৫০ কেজির খাদ্য ভর্তি ব্যাগ, ভেজা টিস্যু, মশারি, তোয়ালে, অটোরিকশার ব্যাটারি, ইউপিএস, পানি তোলার মোটর ও টুথব্রাশ।