১৫ ব্যাংকে ৩৪ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি

সমকাল প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১১

ঋণ আদায়ে বিভিন্ন শিথিলতার মধ্যেও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ। এর প্রভাবে বেড়েছে মূলধন ঘাটতিও। গত জুন শেষে ১৫টি ব্যাংকে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি হয়েছে। ঘাটতির তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে চারটি ব্যাংক। অবশ্য বিভিন্ন ছাড় দিয়ে পুনঃতপশিল, আদায় না করেও নিয়মিত দেখানোর সুযোগসহ বিভিন্ন শিথিলতার মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র আড়াল করা হচ্ছে। তা না হলে মূলধন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


ঋণের শ্রেণিমান বিবেচনায় প্রতিটি ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করতে হয়। প্রভিশন ঘাটতি বাড়লে স্বাভাবিকভাবে মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত বিতরণ হওয়া ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার, যা ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। তিন মাস আগে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ছিল ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মানে তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৩ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। এর বাইরে অবলোপন ও পুনঃতপশিলের পর আদায় না হওয়া ঋণ রয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই ঋণকেও দুর্দশাগ্রস্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে একটি ব্যাংকের মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে যা বেশি, ন্যূনতম সেই পরিমাণ মূলধন রাখতে হয়। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি ব্যাংককে আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় হিসেবে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ হারে মূলধন রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তবে নিয়ম মেনে ১৫টি ব্যাংক গত জুন শেষে মূলধন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক ব্যাংক আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মূলধন রেখেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us