বর্তমানে বিশ্ব এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এটা হচ্ছে বিশ্বনেতৃত্ব। এ সমস্যা প্রকট হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর। ফলে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পরাশক্তিগুলোর উত্তেজনা, বিধ্বংসী অস্ত্রের মতো সংকটগুলো গভীরতর হচ্ছে।
এসব সংকট উঠে এসেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন ও সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবার বিতর্কের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আস্থা ফেরানো ও বৈশ্বিক সংহতি পুনরুজ্জীবন: সবার শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থিতির জন্য ২০৩০ সালের আলোচ্যসূচি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করা।’
অধিবেশনে জাতিসংঘ নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে প্রস্তাব ও ঘোষণাপত্র পাস করা হয়। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার টেবিলে উঠছে না এমন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো মোকাবেলার দায়িত্বও ছিল নিরাপত্তা পরিষদের।
আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল জাতিসংঘের বর্ধিত বাজেট এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য অর্থায়ন। এ অধিবেশন বিশ্বনেতা, রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারগুলোকে আগামী বছরের জন্য তাদের অগ্রাধিকারের রূপরেখা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতার আহ্বান জানানোর সুযোগ দিয়েছে।