জো বাইডেনের সঙ্গে তোলা সেলফি ঘিরে উচ্ছ্বাসের পর ওবায়দুল কাদেরের আরেকটি বক্তব্য নিয়ে ক’দিন আলোচনা হবে বোধ হয়। তাঁর ভাষায়, ‘তলে তলে আপস’ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। আর এখানে ভূমিকা রেখেছে নয়াদিল্লি! একটি দলীয় সভায় খোলাখুলিই বলেছেন কথাগুলো।
এতে দুটি দিক সামনে আসে। এক. মুখে যা-ই বলুক, সরকার চায় আগামী নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নরম হোক। দুই. নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার কোনো মনোভাব নেই সরকারের। অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো ‘শর্তে’ খালেদা জিয়া বিদেশে যাবেন না। বর্তমান ব্যবস্থাপনায় নির্বাচনে আসার শর্ত কি তবে দেওয়া হয়েছে বিএনপিকে? সেটা অবশ্য দলটির কেউ খোলাসা করে বলেননি এ নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত।
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যায়নি, তা কিন্তু নয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছিল খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে। বাস্তবে প্রতিশ্রুতির বিপরীতটাই ঘটে বলে বিএনপি ও তার মিত্ররা তখন থেকে বলে আসছে। সেটি দেশের ‘নিকৃষ্টতম নির্বাচন’ বলেও ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। সরকার নিজেই বলছে, ওই রকম নির্বাচন আর হবে না। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের কারণে বিএনপি ও তার মিত্রদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে সরকার। তারা বলছে, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তারা বর্জন করে চলেছে।