সিকিমে তিস্তার ধ্বংসলীলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। পাহাড়ি ঢলের কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাও প্লাবিত হচ্ছে। পানিতে ভেসে গেছে ঘর-বাড়ি। আতঙ্কে দিন কাটছে মানুষের। এর মধ্যেই জলপাইগুড়িতে পানির স্রোতের সঙ্গে একাধিক মরদেহ ভেসে আসতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিস্তার পানির স্রোতে ভেসে আসছে মরদেহ, জামাকাপড়, বাসনপত্র, গবাদি পশু, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। এসব দেখে সাধারণ মানুষ আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
জলপাইগুড়ির তিস্তা রেল সেতুর কাছেও পানি বেড়ে গেছে। সমতলে তিস্তার দু’পার থেকে অন্তত পাঁচ হাজার বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার মিলিয়ে খোলা হয়েছে ২৮টি ত্রাণশিবির।
জলপাইগুড়ির গজলডোবা এলাকায় এক নারীসহ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সিকিম বা রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা থেকে ভেসে এসেছে এসব মরদেহ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চারটি দল শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি জেলায় উদ্ধারকাজের জন্য এসেছে। রয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার আরও সাতটি দল।