মাথার বালিশ হওয়া চাই এমন, যেন দিন শেষে তাতে মাথা ছোঁয়ালেই মেলে স্বস্তির পরশ, ঘাড় থাকে সুরক্ষিত, সঙ্গে ঘুমটাও হয় ভালো। ক্রেতার চাহিদাভেদে বাজারে পাওয়া যায় নানা রকম বালিশ। বিশেষ করে তুলায় দেখা যায় ভিন্নতা। তুলাভেদে দামেও দেখা যায় পার্থক্য।
অনেকে বলেন, বালিশ মানেই শিমুল তুলার হতে হবে। শিমুল তুলা হচ্ছে তুলার রাজা, দাবি করেন তাঁরা। কথা সত্যি। শিমুল তুলার বালিশ যেমন সবচেয়ে আরামদায়ক, তেমনি টেকসই। কিন্তু শিমুল তুলার বালিশ কিনতে গিয়ে ঠেকতে হয় এর চড়া দামে। এই তুলার দাম কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। এমনকি গুণমানভেদে ৮০০ টাকাও হতে পারে। একটি আদর্শ মাপের মাথার বালিশ তৈরি করতে প্রয়োজন হয় দেড় থেকে দুই কেজি তুলা। সে ক্ষেত্রে একটি বালিশের দাম প্রায় হাজার টাকা কিংবা তারও ওপর চলে যায়।
তারপরও শিমুল তুলার বালিশ কেন ভালো সেটা পরে জানাচ্ছি, তার আগে জেনে রাখুন, দাম হাতের নাগালে রেখে বালিশ কিনতে চাইলে তুলায় আপস করতে হবে। তবে এমন নয় যে এতে বালিশের গুণমান খুব একটা খারাপ হবে। বালিশের জন্য শিমুল তুলা ছাড়াও আছে কয়েক জাতের কার্পাস তুলা। কৃষকদের চাষ করা এই তুলা আবার কয়েক প্রকার হয়। রঙেও দেখা যায় ভিন্নতা। মানের পার্থক্যে এই তুলা কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ৫০০ টাকা। দেশি ফাইবার ও কৃত্রিম তুলা প্রতি কেজি পেয়ে যাবেন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।