বড় পর্দার তারকা নন তাঁরা, ছোট পর্দাও তাঁদের ক্ষেত্র না—ইনফ্লুয়েন্সারদের জগৎ আলাদা। তাঁরা ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বা ফেসবুক দুনিয়ার বাসিন্দা। সাধারণ একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী প্রথম দিকে নিজের ব্যক্তিগত স্টাইলটাই তুলে ধরেন। সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন নিজের পোশাক, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া, পছন্দ-অপছন্দ বা রূপচর্চার তথ্য। তিলে তিলে গড়ে ওঠে ভক্তকুল। সামাজিক মাধ্যমে প্রথম ছবিটি দেওয়ার সময় তাঁরা হয়তো ভাবতেও পারেননি যে একসময় তাঁরাই হয়ে উঠবেন ইনফ্লুয়েন্সার।
ভালো লাগার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইনফ্লুয়েন্সার আর অনুসরণকারীর সম্পর্ক। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নির্ধারণ হয়ে যায় অচেনা কেউ অনুসারীর তালিকায় আসবেন, কি আসবেন না। সবাই কিন্তু প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। স্টাইল, ব্যক্তিত্ব, ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন ইত্যাদি বিষয় প্রভাবিত করতে সহায়তা করে। কেউ হয়তো ফ্যাশন হাউসের পোশাক তুলে ধরেন, কেউ–বা সাজের কোনো পণ্য। পছন্দের ইনফ্লুয়েন্সারের পরা পোশাক দেখেই অনেকে সেটা কিনতে চান। নির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ডের বিক্রি বা সুনাম যত বেশি বাড়াতে পারেন একজন ইনফ্লুয়েন্সার, তত বৃদ্ধি পেতে থাকে তাঁর কদর। তবে এখানে বেশ ভূমিকা রাখে বিশ্বাস। পছন্দের ইনফ্লুয়েন্সার কোনো একটা পণ্য যখন তুলে ধরেন, ভক্তরা কেনেন। মান যদি ভালো না হয়, সে ক্ষেত্রে ভক্তকুল দু-চার কথা শুনিয়ে অনুসরণকারীর তালিকা থেকে বেরও হয়ে যান।