মানুষের জীবনের দীর্ঘ যাত্রাটি শুরু হয় শিশুর ছোট্ট দুটি পা দিয়ে। তারপর পৃথিবীর বুকে তার অভিযান চলে নিরন্তর। ওয়াশিংটন ডিসির বইমেলাও শুরু হয় একেবারেই ছোট একটা জায়গা থেকে। একেবারে সূচনায় দাস্তগীর জাহাঙ্গীর উদ্যোগ নেন। এর আগে বাঙালির চিরদিনের সংস্কৃতির ছোট বাক্সটি সঙ্গেই ছিল। এই প্রিয় অমূল্য বাক্সটিতে থাকে বাংলার গান, আবৃত্তি, নাচ আর অসংখ্য স্মৃতি। তাই প্রবাসে এই চর্চা ছোট আর বড় আকারে চলতেই থাকে।
এর মধ্যেই দ্রুত সাড়া দেন বেশ কজন, যাঁদের মধ্যে আছেন ডা. আনোয়ার ইকবাল, সামিনা আমিন, আতিয়া মাহজাবীন, ডা. নজরুল ইসলাম। তাঁরা সবাই সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ ও ২০১৯-এ বইমেলা হয়ে গেল। এরপর দুই বছর কোভিডের জন্য হতে পারেনি। আবার ২০২২ থেকে শুরু হয়েছে। সেই ভাবনাটি বড় হতে হতে এখন ওয়াশিংটন ডিসির বইমেলা আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত এবং ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এবারের বইমেলায় যে আভাস পাওয়া গেল, তাতে ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ হতেই থাকবে।
মেলায় প্রথম দিনই সকালে দেখা হয়ে গেল বইমেলার এক অনুঘটক ও আমার প্রিয় ড. নুরুন্নবীর সঙ্গে। আমার আরেক প্রিয়জন, তাঁর স্ত্রী। নুরুন্নবীর সঙ্গে দেখা হলেই আমার স্মৃতিতে দ্রুত ফ্ল্যাশব্যাক হতে থাকে সেই ৫২ বছরের কত ঘটনা—মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধোত্তর জন্মঝড়ের বাংলাদেশ (তাঁরই বইয়ের নাম)। এরপর কত আয়োজন, কত উদ্যোগ। আর যেকোনো শুভ উদ্যোগেই পাওয়া যায় নুরুন্নবীকে। কথা এবং কাজের ঐক্যে বাঙালিদের যে খুব একটা পাওয়া যায়, তা নয়। যেখানে যাই, সেখানেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি।