সারা দিনের কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ সব কিছু সামলে দাম্পত্য জীবনের প্রতি কোথাও একটা অবহেলা না চাইতেও করে বসেন অনেকে। বিয়ের পর যত দিন কাটতে থাকে, দাম্পত্যে রসায়নও যেন বদলাতে শুরু করে। উষ্ণতা যেন খানিক হারিয়ে যায়। তাই দাম্পত্য জীবনে সুখ ফেরাতে শোয়ার ঘরে সামান্য পরিবর্তন আনতে পারেন।
১) শোয়ার ঘরের পরিবেশ রঙিন করতে সুগন্ধির ওপর নির্ভর করাই যায়। এ ক্ষেত্রে সুগন্ধি মোমবাতি কিংবা টাটকা ফুলও ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া, একটা বড় পাত্রে খানিকটা পানি রেখে তার ওপর গোলাপের কয়েকটি পাপড়ি ছড়িয়ে ল্যাভেন্ডার, জ্যাসমিন ইত্যাদির গন্ধযুক্ত এসেনসিয়াল তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন।
২) শোয়ার ঘরে রোম্যান্টিকতার ছোঁয়া আনতে আলো-আঁধারি পরিবেশ তৈরি করুন। এ ক্ষেত্রে ডিম লাইট, মোমবাতির আলো, টুনি আলো— ঘরের পরিবেশ বদলে ফেলার জন্য যথেষ্ট। বিছানার পাশে রাখতে পারেন একটা সুন্দর ল্যাম্পশেড। ঘনিষ্ট মুহূর্তে আলো-আঁধারির পরিবেশটা জমবে ভালোই।
৩) খারাপ মেজাজ ভালো করে দিতে পারে একটা সুন্দর গান। শোয়ার ঘরে ঢুকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে একটা রোম্যান্টিক গান চালিয়ে দেখুন, বেশ উপকার পাবেন। দু’জনে মিলে একান্ত মুহূর্ত কাটানোর সময়ে গান দেখুন, মন্দ লাগবে না। তাই শোয়ার ঘরে একটা ব্লুটুথ স্পিকার রাখা যেতেই পারে।
৪) ঘর অপরিচ্ছন্ন রাখলে কিন্তু চলবে না। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে শোয়ার ঘরটি অপরিষ্কার রেখে যাবেন না। ঘুম থেকে উঠেই বিছানা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখুন। সারা দিন পরিশ্রম করার পর বাড়ি ফিরে ঘর অপিষ্কার দেখলে মেজাজ আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই খাটের উপর তোয়ালে, ঘরের এক পাশে নোংরা মোজা, অগোছালো ড্রেসিং টেবিল রাখার অভ্যাসে সবার আগে বদল আনুন।
৫) শোয়ার ঘরে উজ্জ্বল রং ব্যবহার বাড়িয়ে তুলুন। রং ওঠা চাদর, পর্দা, টেবিল কভার, কুশান কভার সবার আগে বাতিল করুন। লাল, গোলাপি, নীলের মতো উজ্জ্বল রঙের চাদর পেতে রাখতে পারেন। হালকা রং পছন্দ হলে সাদা কিংবা প্যাস্টেল শেডের চাদরও বেছে নিতে পারেন। বিছানার ওপর কয়েকটি নরম বালিশ, বিছানার চাদরের সঙ্গে মানানসই রঙের কমফর্টার রাখতে ভুলবেন না।