অবহেলা নয়, যত্ন নিন প্রবীণ নারীর

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৭

জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব প্রবীণ দিবস ছিল ১ অক্টোবর। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্য প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রজন্মের ভূমিকা’। একজন প্রবীণের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক—স্বাস্থ্যের এই সম্পূর্ণ আঙ্গিকেই যত্নের প্রয়োজন হয়।


প্রবীণদের স্বাস্থ্য এমনিতেই বৈশ্বিক চালচিত্রে অবহেলিত। তার মধ্যে যদি তিনি নারী হয়ে থাকেন, মেনোপজ দৈহিক স্বাস্থ্যকে বিপন্নতর করে। পুরুষদের মধ্যেও স্বল্পসংখ্যক মানুষ মেনোপজের মধ্য দিয়ে যান। কিন্তু সে সম্পর্কে মোটেও সচেতনতা নেই। বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিশু বিশেষজ্ঞ হওয়ার পড়াশোনা থাকলেও প্রবীণ বিশেষজ্ঞ হওয়ার স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগটি এখনো চালু হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায় প্রবীণ সেবার গুরুত্ব।


এবার আসুন প্রবীণের মনের দুয়ারে উঁকি দিই। বাংলাদেশে বউ-শাশুড়ির অম্ল-মধুর সম্পর্ক যে টানাপোড়েনের জন্ম দেয়, সেটি মোকাবিলায় একজন প্রবীণ নারী মানসিকভাবে কতটুকু প্রস্তুত? একে তো মনোদৈহিক পরিবর্তন, তার সঙ্গে ক্রমাগত বার্ধক্যের অপরিচিত ভয়, মৃত্যুর গুটি গুটি এগিয়ে আসার গন্ধ প্রবীণকে সন্ত্রস্ত করে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কখনো কথা হয় না। প্রবীণদের মধ্যে বিষণ্নতার হার বেশি। কিন্তু আমরা মনে করি, সবাইকে মমতা বিলানোই প্রবীণটির কাজ। ওনারও তো মমতার প্রয়োজন হয় কখনো কখনো, সে কথা যেন চারপাশের মানুষ ভুলে যায়। এই লেখা যাঁরা পড়ছেন, অন্তত একজন প্রবীণকে জড়িয়ে ধরে বলুন, ভালোবাসি।
এবার সামাজিক স্বাস্থ্য দেখতে গেলে দেখব, বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রবীণেরই নিজস্ব ঠিকানা নেই। শৈশবে বাপের বাড়ি, যৌবনে স্বামীর বাড়ি আর বার্ধক্যে ছেলের বাড়ি হয় ঠিকানা। নিজের একটি স্থায়ী আস্তানা না থাকার মানসিক অবসাদ কতটুকু বিপর্যস্ত করতে পারে একজন মানুষকে, সেটা যৌবনে বোঝা দুঃসাধ্য। অথচ আমরা ভুলে যাই—আজকের নবীন আগামীর প্রবীণ। জীবনচক্রের এই ধাপ সবাইকে অতিক্রম করতে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us