আর দুদিন পরই শুরু হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো। অনেকেরই ধারণা উইকেটের কারণে এবার বিশ্বকাপে দেখা যাবে রান বন্যা। ব্যাটাররা বইয়ে দেবেন চার-ছক্কার ঝড়। বাস্তবতা ভিন্ন থাকলেও সেই আগের বিভিন্ন বিশ্বকাপেও দেখা গেছে ব্যাটারদের দাপট। ১২ আসর মিলিয়ে সেরা পাঁচ ইনিংস একটু পেছনে ফিরে দেখা যাক।
মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ) , ১৬৩ বলে ২৩৭*
২০১৫ সালের সরে ওয়েলিংটনে খুনে মেজাজে নামেন মার্টিন গাপটিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের পিটিয়ে ১৬৩ বলে করেন অপরাজিত ২৩৭ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটার হিসেবেও ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন এই ডানহাতি।
ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম জিম্বাবুয়ে ২০১৫), ১৪৭ বল ২১৫ রান
দানবীয় ব্যাটিংয়ের জন্য বিশ্ব ক্রিকেটে নামডাক ছিল ক্রিস গেইলের। বড় মঞ্চে তিনি বারবার দেখিয়েছেনও নিজের সেরা রূপ। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গেইল নেমেই তুলেন ঝড়। খেলে ১৪৭ বলে ২১৫ রানের ইনিংস। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১০ চার আর ১৬ ছক্কা আসে তার ব্যাটে।
গ্যারি কারস্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত, ১৯৯৬), ১৫৯ বলে খেলেন ১৮৮
টি-টোয়েন্টি যুগেরও অনেক আগের কথা। তখন চার-ছয়ে ঝড় তোলা খুব সহজ ছিল না। সেই সময়ে, ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে রাওয়ালপিন্ডিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন। ১৫৯ বলে খেলেন ১৮৮ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে তখন সেটিই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। পরের বছর এই রেকর্ড ভেঙে দেন সাঈদ আনোয়ার।
সৌরভ গাঙুলি (ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা, ১৯৯৯), ১৫৮ বলে ১৮৩
১৯৯৯ বিশ্বকাপে অবিস্মরণীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের সৌরভ গাঙুলি। ইংল্যান্ডের টন্টনের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ঝড়ো ব্যাটিং ছিল তখনকার বাস্তবতায় তাক লাগানো। ১৫৮ বল খেলে ১৮৩ রান করে আসরের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
স্যার ভিভ রিচার্ডস- (ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম শ্রীলঙ্কা, ১৯৮৭), ১২৫ বলে ১৮১
সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ১৯৮৭ বিশ্বকাপে দেখিয়েছিলেন ঝলক। বরাবরই খুনে মেজাজে ব্যাট করতে অভ্যস্ত থাকা এই ব্যাটার সেবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৫ বলে করে ফেলেন ১৮১ রান। সেই সময়ের যুগে প্রায় অবিশ্বাস্য ছিল সেই ইনিংস।