আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণের জন্য গত জুন নাগাদ পরিপালনে মোটাদাগে যেসব শর্ত দিয়েছিল, তার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ দুটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও অন্যান্য শর্ত বাস্তবায়ন এবং বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় নিয়ে আশাবাদী সরকার। শর্ত পরিপালনে ঘাটতি থাকায় দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছে আইএমএফের একটি মিশন। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্থার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে আজ বুধবার থেকে তারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের সঙ্গে টানা ১৬ দিনের সিরিজ বৈঠক চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এসব বৈঠকে গত জুন পর্যন্ত শর্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হবে। আজ প্রথম দিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।