ঘুমের মধ্যে কখন আবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় অনেকের পায়ের শিরায় টান ধরে। অনেক সময় হাঁটতে হাঁটতেও শিরায় টান ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি থাকলে এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এমন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন। যেমন-
কোমরে বা উরুর কাছে টান ধরে যে অংশে টান ধরবে তার উপর বরফ লাগাতে পারেন। পেশির উপর আইস প্যাক লাগান, তারপর ধীরে ধীরে জায়গাটা মালিশ করুন। একদম বেশি নড়াচড়া করবেন না, এভাবেই ধীরে ধীরে পেশিতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বরফ দিতে সমস্যা হলে গরম সেঁক দিতে পারেন।
পায়ের পেশিতে টান ধরার ক্ষেত্রে স্ট্রেচিং করলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। অন্য কোনও ব্যায়াম এই সময় না করাই ভালো, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঠান্ডা এবং গরম পানির সেঁক দিলে স্বস্তি মিলতে পারে। পেশিগুলি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে এমন কোনও কাজ না করাই ভাল যা পেশির উপর চাপ সৃষ্টি করে। কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে দিলেও আরাম পাওয়া যাবে। রাতে ঘুমানোর সময় পায়ে ব্যথা এবং ক্র্যাম্প এড়াতে ডায়েটে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবে দুর্বল হাড় এবং স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে, তবে শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। হট ব্যাগ টান ধরা জায়গায় রাখুন। দশ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। দশ সেকেন্ড পর আবার হট ব্যাগ দিয়ে সেঁক দিন। এই ভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক চালিয়ে যান।