সঠিক ল্যাম্পশেড বদলে ফেলতে পারে ঘরের আবহ। নতুন নতুন নকশার পাশাপাশি ল্যাম্পশেডে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে নতুন নতুন উপকরণও। তবে হারিয়ে যায়নি পুরোনো নকশা আর উপকরণ। ল্যাম্পশেড বেছে নেওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে আপনার রুচি, সামর্থ্য আর অন্দরের সাজ।
কাপড়ের ল্যাম্পশেড
কাপড়ের ল্যাম্পে ভিন্ন ধাঁচের নকশামডেল
ডিজিটাল ছাপ বসানো রঙিন কাপড় দিয়ে বানানো ল্যাম্পশেড যেমন হালকা, দেখতেও তেমনি আধুনিক। যাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে কাপড়ের তৈরি বাহারি ল্যাম্পশেড। নজর কাড়বে কাপড়ের ওপর রিকশা প্রিন্ট, বাংলা ও বিদেশি সিনেমার নামের ছাপ। যাত্রার উৎপাদন ব্যবস্থাপক তাসমিয়া ফরহাদ বলেন, গৃহসজ্জায় ল্যাম্পশেডের ধারণাটা বিদেশি হলেও দেশি ধাঁচের উপকরণে তৈরি ল্যাম্পশেড কিন্তু দেশি ঘরানার অন্দরসজ্জায় খুব সুন্দর দেখায়।’ আকারে এগুলো গোলাকার, চতুষ্কোণ কিংবা ত্রিকোণ। টেবিল ল্যাম্প থেকে শুরু করে ওপর থেকে ঝুলিয়ে রাখার জন্যও পেয়ে যাবেন কাপড়ের ল্যাম্পশেড। আকার এবং মাপভেদে দাম ২ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সাদা ও রঙিন কাগজের ওপর রং-নকশার খেলা। ঢাকার আসাদগেটের সোর্সের দোকানে গেলে দেখবেন ঘরজুড়ে স্তরে স্তরে সাজানো রঙিন কাগজ। সেখান থেকে পছন্দ করে তৈরি করিয়ে নিতে পারবেন মনের মতো ল্যাম্পশেড। আর তৈরির ঝামেলায় যেতে না চাইলে রেডিমেড ল্যাম্পশেড থেকেই বেছে নিন। কাগজ আছে দুই রকম—সিল্ক এবং মার্বেল। সিল্ক কাগজের দাম মার্বেল কাগজের চেয়ে একটু বেশি। মাপ আর আকারের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে দাম। সোর্সের সংগ্রহ ব্যবস্থাপক টুম্পা আক্তার বলেন, ‘দাম হাতের নাগালে থাকায় ক্রেতারা অনেকেই কাগজের ল্যাম্পশেড পছন্দ করেন।’ পড়ার কিংবা সাজ টেবিলে রাখার জন্য খুব ছোট মাপের ল্যাম্পশেড ৩৯০ টাকায় পেয়ে যাবেন। বসার ও শোয়ার ঘরের জন্য মাঝারি ল্যাম্পশেডের দাম ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর ফ্লোর ল্যাম্পশেডের দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ টাকা।