আগে জনগণ সরকার বদলাত, এখন সরকারই জনগণকে বদলে দেয়। শুধু জনগণ কেন, বাংলাদেশে সরকার ছলে ও বলে বিরোধী দলের আচরণকেও বদলে দিচ্ছে। বিএনপি সমাবেশের নজির সৃষ্টি করে। সরকার ভেন্যু বদলে দিয়ে সেটাকে ব্যর্থতার নজিরে পরিণত করে। বিএনপির আলটিমেটামগুলো হয়ে যায় কথার কথা, কাজের কথা না। সর্বশেষ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তৈরি করা নাটকে ঢুকে স্বেচ্ছায় ধোঁকা খেল বিএনপি।
বিএনপিকে হয়তো বলা হয়েছিল, আগে যা হয়েছে হোক, এই দফায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে– আপনারা আবেদন করুন। এই আবেদন-নিবেদনেই চলে গেল সেপ্টেম্বর মাসের গুরুত্বপূর্ণ শেষ পনেরো দিন। মিডিয়ার শিরোনাম আর বিএনপির আন্দোলন ভিন্ন খাতে বয়ে গেল।
রাজনীতি কূটকৌশলের জায়গা। যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আস্থা ও শ্রদ্ধা নাই, সেখানে নীতিহীন কৌশল নিতেও কেউ পিছপা হয় না। আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে ওস্তাদ। সব জেনেও বিএনপি জেনেশুনে ঠকল কেন? কী করে তারা বিশ্বাস করে, তাদের নেত্রীকে এই সরকার বিশেষ সুবিধা দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করতে পাঠাবে? বন্দি খালেদা জিয়া হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতির ট্রফি, বন্দি অবস্থায় তিনি এক প্রকার জিম্মি। এখন কেউ কি শত্রুপক্ষ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ট্রফি বা জিম্মিকে বিনা প্রতিদানে ফেরত দেয় বা দেবে? দেবে না। খালেদা জিয়া যখন চরম অসহায় ও মারাত্মক অসুস্থ দশায়ও আপসহীনতার কথা বলেন, সরকারও তখন আপসের সম্ভাবনা বাতিল করে দেয়। তাহলে কেন এ সময়টা খোয়াল বিএনপি? এটি তাদের কৌশলগত ভুল।