বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ব্যাপারে মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে। একদিকে দেশের কোনো কোনো মহলে রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়া মানে তাঁদের বড় দুই ছেলে ও বউমাদের সঙ্গে গরমের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল। বেনামে যে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে, সেগুলোর ভাড়াও হাতছাড়া হতে পারে। সে কারণেই ঘুম হারাম।
অন্যদিকে আরেক মহল ভাবছে, নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার জাদুকরি তাবিজ তাঁরা পেয়ে গেছেন। এমন লোকের অভাব নেই যাঁরা ভাবছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে ‘স্ক্রু টাইট’ দেওয়ায় কাজ হতে পারে।
সরকারি মহলের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোরগোল শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউবা বলছেন, যাব না তোমার যুক্তরাষ্ট্রে। যেতে হলে যাওয়ার মতো দেশের কি অভাব রয়েছে! সাবেক এক উপাচার্য দেখলাম আগ বাড়িয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যাইনি, যাবও না।’ এটা তাঁর রাগ না অনুরাগ, তা অবশ্য ঠিক বোঝা গেল না।