বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-উত্তর প্রতিটি ঐতিহাসিক আন্দোলনে যে সংগঠনের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়, প্রায় এক যুগ ধরে সেই সংগঠনের বর্তমান নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া কর্মকাণ্ড, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও নানাবিধ অপরাধমূলক ঘটনার জন্ম দিয়ে সবকিছু যেন ধূলিসাৎ করে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ কোনো অবস্থাতেই যেন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। গত এক সপ্তাহে জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন, তা নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-নেত্রীদের আচরণ সব ধৃষ্টতা ছাড়িয়ে গেছে।
তাঁরা এতই ঔদ্ধত্যপূর্ণ যে যাকে খুশি তাকেই ধরে নিয়ে গিয়ে মারতে পারেন, হাতুড়িপেটা করে শরীরের অস্থিমজ্জা গুঁড়িয়ে দিতে পারেন। গুলি করে হত্যা করেও প্রশাসনের সহায়তায় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতেও পারেন। তাঁরা এতটাই সাহস সঞ্চয় করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ভুল বলতেও দ্বিধা করেন না। কারণ, তাঁরা জানেন, তাঁদের অনেক অপকর্মই দলের বিভিন্ন মহলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখা হয়। অতীতে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনেক উদাহরণও আছে।