বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও তোলপাড় সৃষ্টি করেছে, মার্কিন ভিসানীতি। আবারও বললাম, কারণ গত মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশের জন্য নতুন ‘ভিসানীতি’ ঘোষণা করে, তখনো সেটা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমেরটা যদি ঝড় হয়, এবারেরটা তাহলে সাইক্লোন। ভিসানীতি ঘোষণার চার মাসের মাথায় যুক্তরাষ্ট্র তা প্রয়োগের ঘোষণা দিল। নতুন ভিসানীতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
ভিসানীতির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল, গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে : ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চাকে সহিংসতার মাধ্যমে বাধাদান। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।