জীবন-জীবিকার অন্বেষণে ক্লান্ত-অবসন্ন মানুষগুলোর কাজের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য অবসর ও খানিকটা বিশ্রাম প্রয়োজন হয়। এ অবসর সময়ে বিনোদন উপভোগ করার জন্য তারা ছুটে যায় প্রকৃতির কোলে। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধের সান্নিধ্যে এসে জুড়ায় তাপিত জীবনের সব ক্লান্তি। তখনই পর্যটক মন খুঁজে বেড়ায় প্রশান্তির বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্য।
ভ্রমণপিপাসু মানুষ পৃথিবীর অজানাকে জানতে, নান্দনিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে এবং সর্বদা নতুন কিছু দেখতে ও আবিষ্কার করতে অনুসন্ধিৎসু মনের সহজাত তাড়নায় ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মহাবিশ্বের সৌন্দর্য-রোমাঞ্চিত মুক্তাঙ্গনে। জীবন-জীবিকার অন্বেষণে ক্লান্ত-অবসন্ন মানুষের অবসর ও খানিকটা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। এ অবসর সময়ে বিনোদন উপভোগ করার জন্য তারা ছুটে যায় প্রকৃতির কোলে। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধের সান্নিধ্যে এসে জুড়ায় তাপিত জীবনের সব ক্লান্তি। তখনই পর্যটক মন খুঁজে পায় প্রশান্তির দ্বার। বিচিত্র এ পৃথিবী ও লীলাবতী প্রকৃতি অপার সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।
পর্যটন শিল্পের অমিত সম্ভাবনার সমৃদ্ধ দেশ বাংলাদেশ। সুজলা-সুফলা, শস্য শ্যামলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বাংলাদেশ। দিগন্তজোড়া সবুজের সমারোহ, শ্যামল-শোভন বন, উঁচু-নিচু পাহাড়, চা বাগান, সমুদ্রসৈকত, দেশজোড়া রুপালি নদীর বিস্তার, বিভিন্ন ঋতুতে রঙ আর অপরূপ রূপের বর্ণিল শোভা সৌন্দর্য মহিমায় পৃথিবীর অনন্য।
পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও পৌরাণিক নিদর্শনগুলো। পর্যটন উন্নয়নের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, আবাসন সুবিধা, স্থানীয় প্রসিদ্ধ খাবারের সুব্যবস্থা, পর্যটন নিরাপত্তা ও চিত্তবিনোদনের সব শ্রেণীর উপকরণ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেই সঙ্গে ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান কিংবা তীর্থস্থানে দর্শনার্থীর গমনাগমন কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হচ্ছে।