গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর আর্মেনীয় শরণার্থীদের একটি দল সীমান্ত পার হয়ে আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করে। অঞ্চলটি থেকে ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়রা মূল ভূখণ্ডে চলে যেতে পারে বলে ধরণা করা হচ্ছে।
আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ বলছে, এই অঞ্চলটিতে বসবাস করা তাদের (জাতিগত আর্মেনীয়দের) অধিকার এবং তারাই ওই অঞ্চলের অখণ্ডতা বজায় রাখবেন। এই আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না কারাবাখের আর্মেনীয়রা।
নাগর্নো–কারাবাখে স্ব-ঘোষিত স্বাধীন প্রজাতন্ত্র আর্টসাখের প্রেসিডেন্ট সামভেল শাহরামানিয়ানের উপদেষ্টা ডেভিড বাবায়ান বলেছেন, আমাদের জনগণ আজারবাইজানের অংশ হয়ে বাঁচতে চায় না, ৯৯.৯ শতাংশ আমাদের এই ঐতিহাসিক অঞ্চল ছেড়ে যেতেই সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত বুধবার আজারবাইজানের অভিযানের মুখে অস্ত্রসমর্পণ ও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। রাশিয়ার শান্তিরক্ষীরা বিষয়টি তদারক করছেন।
আর্মেনিয়র স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নাগর্নো-কারাবাখ থেকে শত শত শরণার্থী আর্মেনিয়ায় আসতে শুরু করেছে। রবিবার নাগর্নো-কারাবাখ থেকে মোট ১০৫০ জন আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে।
কারাবাখের আর্মেনিয়ান নেতারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আজারবাইজানীয় সামরিক অভিযানের ফলে যারা গৃহহীন হয়েছেন এবং দেশত্যাগ করতে চান তাদের রুশ শান্তিরক্ষীরা আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাবে। খবর আরব নিউজ।