ইউনেস্কো সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে দৃষ্টিগ্রাহ্য (Tangible) বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ জন্য সব বাঙালিসহ শিক্ষা ও সংস্কৃতির অনুরাগীরা আনন্দিত এবং গর্বিত বোধ করছে। এই স্বীকৃতি ও সম্মান ঐতিহাসিক এবং চলমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির (শান্তিনিকেতন) বহু আগেই পাওয়া উচিত ছিল। তা যে হয়নি, তার প্রধান কারণ- এই স্বীকৃতির জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের কাউকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করে প্রস্তাব পাঠাতে হয়।
এই প্রক্রিয়া খুব সন্তোষজনক বলা যায় না। বিশ্বের প্রতিটি দেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি থাকেন। কোনো স্থান বা বিষয় এভাবে স্বীকৃতি পেয়ে সংরক্ষিত হওয়ার উপযুক্ত এবং দাবি রাখে, সেই সিদ্ধান্ত সুপারিশের আকারে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধিরই প্যারিসের হেড অফিসে পাঠানো উচিত। না হলে এই চিহ্নিতকরণ ও স্বীকৃতি লাভ প্রাতিষ্ঠানিক না হয়ে ব্যক্তিবিশেষের আকস্মিক উদ্যোগের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে। যেখানে জাতিসংঘের একটি সংস্থা প্রতিটি দেশে তার আবাসিক প্রতিনিধি রেখেছে, সেখানে দৈবচয়নের মতো এ নির্বাচন কোনোভাবেই কাম্য নয়।