যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরুর খবরে কিছুটা উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মধ্যে। দেশের রপ্তানি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ও রপ্তানিকারকরা। তাদের ধারণা, এর প্রভাব হিসেবে বিভিন্ন ধরনের অশুল্ক বাধার শঙ্কা রয়েছে। মার্কিন বিনিয়োগও সংকুচিত হতে পারে। সে দেশ থেকে আসা প্রবাসী আয়ও কমে যেতে পারে।
তৈরি পোশাক খাতের নিট ক্যাটেগরির পণ্য উৎপাদক এবং রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএ সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান সমকালকে বলেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাবে রপ্তানি পণ্যের ওপর নানা ধরনের অশুল্ক বাধা আসার শঙ্কা রয়েছে। ইরান এবং আফ্রিকার দু’একটা দেশের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা ঘটেছে। অশুল্ক বাধা হিসেবে কঠিন কমপ্লায়েন্সের শর্ত দেওয়া হতে পারে। আলোচনায় থাকা শ্রম অধিকার এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল-ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়নের মতো বিষয়গুলোতে কঠোর হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা এ নিয়ে কোনো উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা জানায়নি।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান অবশ্য মনে করেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা রাজনীতির বিষয়। রাজনীতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থাৎ এ দেশের শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলেই আশা তাদের। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধরে রাখা এবং উন্নয়নে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান তিনি।