কোহিনূর বেগম নামের এক নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনার তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে পুলিশ জানতে পারে কোহিনূর বেগম আত্মহত্যা করেননি, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
কোহিনূরের মৃত্যু নিয়ে শুরুতেই তাঁর ভাই সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহর সন্দেহ ছিল বলে জানা গেছে। সালাউদ্দিন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরই তিনি একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় কোহিনূরের স্বামী ও তাঁর পালিত মেয়ে এখন কারাগারে।
নিহত কোহিনূর বেগম নামকরা একাধিক ওষুধ কোম্পানিতে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবি ঢাকার কর্মকর্তা।