একসময় শিক্ষার্থীরা বলত, তাদের স্কুলটি মরুভূমির মাঝে! কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন দূর থেকে চোখ আটকে যায় স্কুলের ছাদবাগানে। কাছে গেলে তো আর কথাই নেই! স্কুলের ছাদে অনেক টবে নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি গাছ আর ফুল ও ফলের সমারোহ। না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না যে স্কুলের ছাদে গড়ে তোলা বাগান কতটা সুন্দর হতে পারে। বলছি জলসিঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের ছাদবাগানের কথা। এটি এখন এক মায়ার রাজ্য। ঢাকার পূর্বাচলে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
মূলত কাছাকাছি জনবসতি না থাকার কারণে এমন মন্তব্য ছিল শিক্ষার্থীদের। সেই মরুর বুকে মরূদ্যান এখন সহজেই চোখে পড়ে। আর সেই কারণে জলসিঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ এখন পূর্বাচলে সবার নজর কাড়ছে।
ছাদবাগান তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মেজর মোহাম্মাদ আনিসুজ্জামান। স্কুলের বিশাল ছাদ ফেলে না রেখে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তাঁর সে ভাবনার ফল আজকের ফুলে-ফলে সেজে ওঠা বাগানটি। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কর্নেল শাহজাদ পারভেজ মহিউদ্দিনের নেতৃত্ব ছাদবাগানটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ, অভিভাবক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই ছাদবাগান দেখতে আসেন। দেখার পর তাঁদের চোখমুখে লেগে থাকে মুগ্ধতা।