ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে বাংলায় জনমিতিক লভ্যাংশ বলা হয়। একটি দেশের ডেমোগ্রাফিক ট্রানজিশন মডেলের তৃতীয় ধাপে জন্মহার ও মৃত্যুহার কমে এলে বয়স কাঠামোর পরিবর্তনের ফলে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যায়। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলতে ১৫-৬৪ বছর বয়সীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী হিসেবে ০-১৪ বছর বয়সী এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা রয়েছে তারা এ শ্রেণীভুক্ত। এখন এর আনুপাতিক আকার লক্ষ করলে দেখা যায়, একটি দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যখন বেশি থাকে তখন সে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হয়। মোটাদাগে জনমিতিক লভ্যাংশ বলতে বোঝায়, একটি দেশের প্রজনন ও মৃত্যুহার এ দুটো কমে আসার কারণে বয়স কাঠামোর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে। সে বয়স কাঠামোর পরিবর্তনে অর্থাৎ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যখন নির্ভরশীল জনসংখ্যার অনুপাতে সর্বাধিক দাঁড়ায়, তখন নির্ভরশীলতার হার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুকূলে থাকে বা এরকম একটি সুযোগ তৈরি হয়।