ডেঙ্গুর ছোবলে মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি এবং আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কোনোমতেই থামানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুর ভয়াবহ অগ্রযাত্রা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সফল হচ্ছি না কেন? ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আদৌ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি? এরকম বহু প্রশ্ন এখন নানাদিক থেকে উচ্চারিত হচ্ছে।
যেকোনো শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার কতগুলো মৌলিক নীতি রয়েছে। তার অন্যতম হচ্ছে শত্রুর সামর্থ্য, বিস্তৃতি, স্বভাব চরিত্র, আঘাত হানার ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। বিষয়টি ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। ডেঙ্গুর বাহক হলো এডিস মশা। এর দুটি প্রজাতি দ্বারা ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হয়। এগুলো হচ্ছে এডিস ইজিপ্টাই বা গৃহবাসী এডিস মশা এবং অন্যটি হলো এডিস অ্যালবোপিকটাস বা বুনো এডিস (এটাকে এশিয়ান টাইগার নামেও ডাকা হয়)।
সাধারণভাবে গৃহবাসী এডিস ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু মহামারির সময়ে বুনো এডিস মশাও ডেঙ্গুর বাহকে রূপান্তরিত হয়। ডেঙ্গুপ্রবণ দেশ বা অঞ্চলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ পরিকল্পনার প্রধান লক্ষ্য থাকে এডিস মশা নির্মূল করা।