অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে বিএনপি। নানা ঘটনাপ্রবাহে টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির সামনে এখন বড় পরীক্ষার নাম নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিশ্চিত করে সরকারের পতন। এ লক্ষ্যে গত জুলাই মাসের শেষভাগ থেকে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে দলটি। এসময় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের আশানুরূপ সাড়াও মিলছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি তৃণমূলে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে মরিয়া নীতিনির্ধারকরা। তবে বড়োসড়ো প্রশ্নের জায়গা তৈরি হয়েছে দলের নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। ধারণা করা হয়, সংগঠনকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে না পারায় গত দেড় দশকে রাজপথের আন্দোলনে ততটা সামর্থ্য নিয়ে টিকতে পারেনি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলটি।
অন্যদিকে এটাও সত্য যে, বাংলাদেশে বিএনপির ব্যাপক জনসমর্থন আছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সংগঠনটির পরিধি সম্প্রসারিত হচ্ছে বিদেশেও। তবে নেতৃত্ব নির্বাচনে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যতটা ক্যারিশমাটিক ছিলেন বর্তমান হাইকমান্ডে তা বহুলাংশেই অনুপস্থিত। অতীতের মতো বর্তমানে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন কেন হচ্ছে না, দলের ভেতরে-বাইরে এ প্রশ্নের পালে জোর হাওয়া লাগছে। উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্লেষণ ও অভিমত। তাদের অনেকে বলছেন, জিয়াউর রহমান সততা ও দেশপ্রেমের যে মানদণ্ডে নেতৃত্ব নির্বাচন করতেন বর্তমানে সে পন্থা অনুসরণ করা হচ্ছে না। এর পেছনে সামাজিক অবক্ষয় এবং ক্ষয়িষ্ণু রাজনীতির দায়ও দেখছেন তারা।