গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ঢাকার তুরাগ এলাকা থেকে আলাল উদ্দিনকে (৫০) ধরে আনার ১০ দিন পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয় তিনি মারা গেছেন। আলাল ওই এলাকার একটি ভবনের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তবে আলালকে গ্রেপ্তারের সময়, তাঁর আহত হওয়া, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাচ্ছে না।
সুস্থ আলাল উদ্দিনকে ধরে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর খবরে মুষড়ে পড়া পরিবারের অভিযোগ, আলালকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে আলালের লাশের সুরতহাল করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু তিনি মৃতদেহের সুরতহালের সঙ্গে আলালের মৃত্যু নিয়ে অভিমত দিয়েছেন, যেখানে দৃশ্যত ডিবিকে ‘দায়মুক্তি’ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনুসন্ধান ছাড়াই ম্যাজিস্ট্রেট আলালের আহত হওয়ার দিনক্ষণ উল্লেখ করেছেন। যেটা আলালকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে দেওয়া ডিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যদিও ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশের কাছ থেকে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।