তিথলি আগে ক্লাসে ঢুকলে নাফিসার জন্য জায়গা রাখে। আর নাফিসা ঢুকলে তিথলির জন্য। পাশাপাশি বসে খুব যে কথা বলে, তা কিন্তু নয়। আসলে দুজনের পাশাপাশি বসে থাকতেও যেন ভালো লাগে। এই স্কুলে ক্লাস ফাইভে ভর্তি হওয়ার পর সবকিছু কিছু দিন নাফিসার বড় অচেনা লাগছিল। তিথলির সঙ্গে কখন যে বন্ধুত্ব হয়ে গেল! তার পর থেকে আর খারাপ লাগে না। বাড়িতে বসে ছবি আঁকলে, সে ছবি স্কুলের টিফিন পিরিয়ডে তিথলিকে দেখায়। তিথলিও স্কুলের নির্জন কোণে বসে নাফিসাকে গান গেয়ে শোনায়। টিফিন ভাগাভাগি তো আছেই। বড় আনন্দে কাটছিল স্কুলবেলা। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন তাল কেটে গেল।
একদিন আম্মু বলল, ‘ওই তিথলির সঙ্গেই তো দেখি সারা দিন লেগে থাকো। কেন, স্কুলে আর বন্ধু নেই?’
মায়ের গলায় ঝাঁজ দেখে নাফিসা অবাক। তিথলির সঙ্গে মেশার মধ্যে অপরাধ তো কিছু দেখে না।
‘ওর সঙ্গে মিশতে আমার ভালো লাগে আম্মু। কী শান্ত আর ভালো মেয়ে, জানো? কী সুন্দর গান করে।’