মুক্তিযুদ্ধের সূত্রে ভারত ও বাংলাদেশ একে-অপরের ওঠাপড়ার সঙ্গী। এই বন্ধুত্বের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে। সম্পর্কটা এখন বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে গল্প করার মতো।
দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলায় টুইট সেই আন্তরিক সম্পর্কেরই ইঙ্গিত। খেয়াল রাখতে হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মাতৃভাষা গুজরাটি এবং ভারত সরকারের কাজের ভাষা হিন্দি ও ইংরেজি। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানেন, বাংলা ভাষার জন্য ওপারের বাঙালির মরণপণ লড়াইয়ের কথা। কূটনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন, ‘ভারত পাশে আছে’, সরাসরি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতেও তিনি বাংলায় টুইট করেছেন।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুবাদে জানতে পারছি, আমাদের ঘনিষ্ঠ এই প্রতিবেশী দেশের ব্যস্ত মানুষটি হলেন পিটার হাস। তার পরিচয় লিখে শব্দ খরচ করার অর্থ হয় না। তিনি বিগত কয়েক মাস যাবৎ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নেতা-মন্ত্রী-রাজনৈতিক দল-নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠক করে চলেছেন। মনে হচ্ছে, যেন তিনিই বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।