ট্রেন আসার আগে আগে যাত্রীতে ভরে যায় প্ল্যাটফর্ম। ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে থাকেন শত শত নারী-পুরুষ। ট্রেন এলে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, কার আগে কে উঠবে...।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ট্রেন ময়মনসিংহে দাঁড়ানোর পর যাত্রীদের এই হুড়োহুড়ির চিত্র নিত্যদিনের। বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহ থেকে প্রতিদিন ঢাকায় যাতায়াত করেন গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ। কিন্তু এ নগরী থেকে ঢাকাগামী আলাদা কোনো ট্রেন নেই। জামালপুর এবং নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনে বরাদ্দ থাকা অল্পকিছু আসনে চড়েই পৌঁছাতে হয় গন্তব্যে। যারা ভাগ্যবান তারা আসনের টিকিট পান, বাকিরা আসনবিহীন টিকিট সংগ্রহ করে কিংবা বিনা টিকিটে চলাচল করেন।
রেলওয়ের বুকিং অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন হয়ে চলা ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেনের সবকটি মিলিয়ে বিভাগীয় এ নগরীর মানুষের জন্য মাত্র ৫৮৬টি টিকিট বরাদ্দ করা আছে। এর মধ্যে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা তিস্তা ট্রেনে ১৬৬টি, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে ৭০টি, তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা অগ্নিবীণায় ১১০টি, যমুনায় ১১০টি, মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ৭০টি এবং হাওড় এক্সপ্রেসে টিকিট বরাদ্দ ৪৫টি। আর সম্প্রতি জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বিকল্প পথ হিসেবে ময়মনসিংহ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ১৫টি আসন বরাদ্দ পেয়েছে ময়মনসিংহ রেল বিভাগ।
ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আসন না থাকায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য ১৪০ টাকা করে আসনবিহীন টিকিট সংগ্রহ করেছেন তারা। খুব কমই সময়ই ট্রেনে আসন পাওয়া যায়।