ক্ষমতাসীনরা আক্রান্ত বলেই আজ পুলিশের এডিসি হারুন বিষয় নিয়ে এত কথা? এই সহজ সরল প্রশ্নের উত্তর- হ্যাঁ। ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় বেধড়ক পেটানো, দাঁতে উপড়ে ফেলার ঘটনায় এই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। আহত ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক ওই দিন সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে ডেকে নেন। তিনি বারডেম হাসপাতালে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে এডিসি হারুনকে দেখতে পেয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে হারুনের নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে তাদের দাঁত উপড়ে ফেলা হয়।
প্রথমে প্রত্যাহার, তারপর বদলি, এরপর বরখাস্ত এবং সবশেষ রংপুর রেঞ্জে বদলি। এর অর্থ হলো এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ মূলত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এডিসি হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই। গত কয়েক বছরে, এডিসি হারুন তার সহিংস আচরণের বহু নজির রেখেছেন। ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, বিরোধী দলের সদস্যসহ যারা কোনো পাবলিক ইস্যু নিয়ে কথা বলতে রাস্তায় নেমেছেন তিনি তাদের ওপর হামলা করেছেন। গত বছর ঠিক এই সময়ের পত্রিকা ঘাটলেও এরকম দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে।