ফলোআপ

দেশ রূপান্তর মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৮

গোপীগঞ্জের গফফার গাইনকে একজন মোটা বুদ্ধির লোক বলে সবাই জানে। তার চৌদ্দ পুরুষের কেউ কোনোদিন গাঁয়ের মোড়ল সাজার সাহস দেখায়নি। আজকাল গফফারের মাথায় কীভাবে যে কখন কী আসে তা তার আপনজনরাও বুঝতে পারে না। গফফার ইদানীং অনেক জিনিস নিজে নিজে ভাবে, ভাবতে বাধ্য হয় এবং তার সামনে আগে-পিছে যা ঘটে তার একটা বোধগম্য ব্যাখ্যা সে দাঁড় করায়। গফফারের বাবা বদরউদ্দীন ছিলেন সাদা মনের মানুষ, কারও সাতে পাঁচে মাথা ঘামানো তার স্বভাবে ছিল না। ফলে রাতে তার ভালো ঘুম হতো। নিজের গোলার ধান, গোয়ালের গরুর দুধ, ক্ষেতের তরকারি আর পুকুরের মাছ ছিল তার প্রিয় খাবার। বদরউদ্দীনকে কেউ কেনোদিন ফ্যাতনা ফ্যাসাদ করতে দেখেনি বা শোনেনি।


কেন জানি গফফারের মাথায় আজকাল ভালো ঘুম হওয়া-না হওয়া নিয়ে নানান ভাবনা আসা-যাওয়া করে। বাপজান বদরউদ্দীনের কাছে ডাক্তার বিধান রায়ের গল্প শুনেছে সে। সাতক্ষীরার দেবহাটার বিধান রায়ের হাতপাত দুই-ই ভালো ছিল। অর্থাৎ জনসেবা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিধান বাবুর স্টেথোস্কোপ রোগীর নাড়ি বোঝার পাশাপাশি আশপাশে সবার মতিগতি বুঝতেও ব্যবহৃত হতো। বিধান বাবু মস্ত বড় ডাক্তার। তবে তার চিকিৎসা করার পদ্ধতিটা ছিল ভিন্ন। তিনি রোগীর মনের চিকিৎসায় পারদর্শী ছিলেন। প্রেমেন্দ্র মিত্র ‘একটি পেরেকের কাহিনী’ লিখেছিলেন ডাক্তার বিধান বাবুকে কেন্দ্র করেই। একটি বালকের পায়ে পেরেক ফুটে, সে ভীষণ যন্ত্রণায় কাতর, তার গ্যাংগ্রিন হওয়ার জোগাড়, হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে কোনো এক নামি ডাক্তারের আগমনে অধীর আগ্রহে থাকে। অবশেষে স্বয়ং বিধান বাবু তাকে দেখতে এসেছেন, এটা জেনেই তার মনে হলো, ব্যথা কমতে শুরু করেছে । বিধান বাবু তাকে দেখলেন, বললেন, তোর তেমন কিছুই হয়নি, তুই উঠে দাঁড়া, হাঁটতে শুরু কর। এসব বাপজানের কাছে যখন শুনছিল গফফার, ঠিক সে সময় ভূপেন হাজারিকার গান বেজে ওঠে তাদের রেডিওতে মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না... বল কি তোমার ক্ষতি জীবনের অথৈ নদী পার হয় তোমাকে ধরে দুর্বল মানুষ যদি...

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us