স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি। আপনার ইমিউন স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করাই যেকোনো ভাইরাল আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রথম স্তর। যদিও কারও কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, বাকিরা স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি তৈরি করে। এই প্রচেষ্টায় খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুবিধাগুলো আমরা সবাই বুঝতে পারি। তবে মহামারি হওয়ার পর থেকে প্রাধান্য পেয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার। আমাদের রান্নাঘরে বিভিন্ন উপাদানে মজুদ থাকে যা সামগ্রিক পুষ্টিতে সহায়তা করে এবং শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারকে সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বলা হয়। এগুলো ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে, প্রদাহ প্রতিরোধ করে এবং শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। যা শরীরের সুস্থ কার্যকারিতার জন্য জরুরি। এগুলো একত্রিত হয়ে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। সেইসঙ্গে বিভিন্ন মৌসুমী রোগ এবং ভাইরাল আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জেনে নিন ৫টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার সম্পর্কে যা প্রতিদিন খেতে হবে-
কাঁচা মরিচ
ডিকে পাবলিশিং-এর ‘হিলিং ফুডস’ অনুসারে, কাঁচা মরিচে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন থাকে, উভয়ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন কোষের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একটি কাঁচা মরিচ খেলে তা আপনাকে ভিটামিন সি এর দৈনিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করতে পারে।
আমলকি
আমলকি একটি সুপারফুড এবং এখন পর্যন্ত এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেককিছুই জানানো হয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার।বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে এর অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও আমলকি হজমেও সহায়ক। আমলকি কেটে রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। এটি মুখের রুচি বৃদ্ধিকারী হিসেবেও কাজ করে।
লেবু
ভিটামিন সি এর আরেকটি জনপ্রিয় উৎস হলো লেবু। এটি আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই পাওয়া যাবে। লেবু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনি যে ডাল বা শাক-সবজি খাচ্ছেন তার সঙ্গে লেবু রাখতে পারেন। এছাড়া লেবুপানি বা লেবুর শরবতও তৈরি করে খেতে পারেন।