গত মাসে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিকস আফ্রিকা থেকে দুটি দেশকে সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগামী বছর থেকে ব্রিকসের সদস্য দেশ হবে ১১টি। সম্প্রসারিত ব্রিকসে আফ্রিকার দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত এটি প্রমাণ করছে, ইউরেশিয়ার একত্রীকরণের বিষয়টি আফ্রো-ইউরেশিয়ার একত্রীকরণের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী যুক্ত। সে জন্য বেলারুশ এখন ব্রিকস ১১, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) ও ইউরেশিয়া ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইউ) মধ্যে একটি যৌথ শীর্ষ সম্মেলন করার প্রস্তাব করছে। এই বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলোর একত্র করার জন্য প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর দৃষ্টিভঙ্গি সময়মতো ‘মাদার অব অল মাল্টিপোলারিটি সামিট’-এর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু আফ্রো-ইউরেশিয়া অনেক বেশি জটিল সমীকরণে রয়েছে। নব্য ঔপনিবেশিকতার শিকল ভাঙার ক্ষেত্রে আফ্রিকা এখনও তার ইউরেশীয় প্রতিবেশীদের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে। মহাদেশটি আজ ঔপনিবেশিকতার কারণে আর্থিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে যখন তারা ফরাসি আর্থিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাইছে।
আফ্রিকায় একটার পর একটা দেশে সামরিক অভ্যুত্থান হচ্ছে। সাদ, গিনি, মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং সর্বশেষ গ্যাবনে ক্যু হয়েছে। প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যে বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরেকে বহুমেরু বিশ্বের এক নতুন নায়কে পরিণত করেছে। কারণ সামষ্টিকভাবে বিভ্রান্ত পশ্চিমা বিশ্ব বুঝতে পারছে না– মধ্য আফ্রিকায় তিন বছরে যে আটটি অভ্যুত্থান হয়েছে, তা কতটা সংকট তৈরি করবে।