মহাকাশে প্রথম প্রাণী হিসেবে লাইকা নামের কুকুরের কথা তো আমরা সবাই জানি। সেই যে গত শতাব্দীর পঞ্চম দশকের সপ্তম বছরে (১৯৫৭) মহাকাশে সোভিয়েত কুকুর স্পুটনিক-২ খেয়াযানে করে পাড়ি জমায়। পৃথিবীর কক্ষপথে গিয়ে প্রথম প্রাণী হিসেবে পুরো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে সে। এর আগে ১৯৪৮ সালে অ্যালবার্ট–১ নামের এক বানরকে মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। অ্যালবার্টের রকেট ৩৯ মাইল উঁচুতে কারিগরি ত্রুটিতে ধ্বংস হয়।
১৯৪০-এর দশকে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বায়ুমণ্ডলের বাইরে প্রাণী পাঠানোর উদ্যোগ নেন। শুরুতেই তাঁরা পরিকল্পনা করেন মাছি পাঠাবেন। সেবার ভি-২ রকেট ভর্তি করে একদল মাছিকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ১০৯ কিলোমিটার ওপরে মাছিরা ভ্রমণ করে। বায়ুশূন্য অবস্থা ও প্যারাসুটের দুর্বলতার কারণে অনেক মাছি মারা যায় সেই অভিযানে।
কুকুর কিংবা বানর–শিম্পাঞ্জিকে হরহামেশাই মহাশূন্যে নানা গবেষণার জন্য পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ ছিল বানর-শিম্পাঞ্জি আর রাশিয়ার ছিল কুকুর। কচ্ছপকেও পাঠানো হয়েছে চন্দ্রকক্ষপথে; পাঠানো হয়েছে জেলিফিশ পর্যন্ত। মাকড়সার মহাকাশ জয় হয়েছে ১৯৭৩ সালে। লাইকার বীরত্বের কথা আমরা পড়লেও ফেলিসেট বিড়ালের মহাকাশ জয়ের গল্প খুব একটা পড়ি না।